শনিবার, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:১৪

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
আমতলীতে গৃহহীন ৪০ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাকা বাড়ি

আমতলীতে গৃহহীন ৪০ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাকা বাড়ি

dynamic-sidebar

আমতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রানালয়ের অধিনে দুর্যোগ সহনীয় ৪০ টি পাকা বাড়ি পেলো ভিক্ষুক, দিনমজুর ও গৃহহীন পরিবার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন (টি.আর) ও গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্ধে ২০১৯- ২০ অর্থবছরে আমতলী উপজেলায় মোট ৪০ টি হতদরিদ্র অস্বচ্ছল, গৃহহীন , ভিক্ষুক .দিনমজুর পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় পাকা ঘর নির্মাণ করে দিেেয়ছেন উপজেলা প্রশাসন।

 

‘গৃহহীনদের গৃহদান’ কর্মসূচির অগ্রাধিকার প্রদান, দুর্যোগ ঝুকিহ্রাস এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী গ্রামীন এলাকায় যে সকল দারিদ্র জনগোষ্ঠীর সামন্য জমি বা ভিটা আছে কিন্তু টেকশই ঘর নেই তাদের জন্য ৮০০ বর্গফুটের জায়গায় রান্নঘর, টয়লেটসহ একটি সেমিপাকা টিনশেডের দুই কক্ষ বিশিষ্ট নতুন বাড়ি নির্মান করে দিেেয়ছেন উপজেলা প্রশাসন।

 

 

আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলিত বছরে উপজেলার ৪০টি দুর্যোগ সহনীয় পাকা বাড়ি নির্মান করে দেয়া হয়েছে গৃহহীনদের। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। এতে রয়েছে রান্নঘর, টয়লেটসহ সেমিপাকা টিনশেডের দুই কক্ষ। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী অফিসার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

 

 

আমতলী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ৪০ জন গৃহহীন ভিক্ষুক দিনমজুর পরিবারের জন্য ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪শ’ টাকা া বরাদ্দ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। যে সকল ব্যক্তিদের এক থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই বা থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী এমন ব্যক্তিরাই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কে সভাপতি, ইউপি সদস্যদের সদস্য করে বাড়ী গুলো নির্মান করা হয়েছে।

 

 

বুধবার সকালে উপজেলার হলদিয়া, আমতলী ও চাওড়া গুলিশাখালী , কুকুয়া ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, হতদরিদ্র মানুষগুলো প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে খুবই আনন্দিত। তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেবে । আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের দিন মজুর মো. হেলাল গাজী বলেলন, মুই ঘড়ের অভাবে রাইতে ঘুমাইতে পারতাম না। শেখের মাইয়া শেখ হাসিনার মোগো এই ঘড় দিছে। হ্যারে আল্লায় যেন ভাল রাখে । আমি নামাজ পড়ে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি।

 

 

আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলায় ৪০ টি হতদরিদ্র পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে বলেন,প্রধানমন্ত্রীর
প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উপজেলায় বাছাই শেষে ৪০ টি হতদরিদ্র ভিক্ষুক দিনমজুর গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। মাননীয় ধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী উপজেলার সকল হরিদ্র ও হতদরিদ্র দিনমজুর ভিক্ষুক পরিবারগুলোকে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণের আওতায় আনা হবে। বুধবার সকালে আমি আমতলী সদর ইউনিয়নের ৪টি ঘড় পরিদর্শন করেছি। এগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।

 

 

তিনি আরো বলেন, নাচনা পাড়া গ্রামের একজন ভিক্ষুক রানী বেগমকে একটি ঘড় দেওয়া হয়েছে এখন তার আয় রোজগারের জন্য একটি ছোট দোকান করে দিয়ে দেওয়া হবে যাতে তার আর ভিক্ষা করতে না হয়। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ঘর নির্মাণ বাবদ দুই লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত বরাদ্দের মধ্যেই ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে । দ্রুত সুবিধাভোগীদের মধ্যে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net